Skip to main content

1.মেয়েদের যৌন-চাহিদা


নারী-পুরুষের যৌন উত্তেজনার ধারা পৃথিবীব্যাপী একই রকম অর্থাৎ পৃথিবীর যে-কোনো দেশে নারী-পুরুষ একই রকমভাবে যৌন উত্তেজিত হয় এবং যৌনমিলনে অংশগ্রহণ করে পৃথিবীব্যাপী নারী-পুরুষ উভয়ের যৌনতার ওপরই গবেষণা এবং আলোচনা হয় ব্যাপকভাবে
আমেরিকান বিখ্যাত কিনসে ইনস্টিটিউট নারী-পুরুষের যৌনতার বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে বলেছে, যৌনতা হলো নারী-পুরুষের দৈহিক মিলন, যা প্রাণিজগতের অন্যান্য প্রাণীর মতো নারী-পুরুষের যৌনতা বাহ্যিকভাবে প্রকাশ্য নয় বরং নারী-পুরুষের যৌনমিলন এবং যৌনতা সংঘটিত হয় সুস্থ-সুন্দর পরিবেশে


পৃথিবীর আদি থেকে চলে আসা একটি সংস্কৃতি হলো যৌনসংস্কৃতি
এই যৌনসংস্কৃতি প্রতিটি পুরুষ এবং নারীর জীবনের খুব আদৃত একটি অংশ নারীর সাথে পুরুষের দৈহিক মিলনের সময় নারী উত্তেজিত হয় এবং পাশাপাশি পুরুষেরও যৌন উত্তেজনা আসে পুরুষের স্পর্শের প্রথম থেকেই নারীর ভেতরে যৌন-উত্তেজনার সৃষ্টি হয় নারীর শরীর কেঁপে উঠতে পারে যা খুব সামান্য সময় ধরে অনুভূত হয় যৌনমিলনের সময় নারীর দেহ এবং পুরুষের দেহের প্রধান যে পরিবর্তন হয় তাহলো উভয়েরই শারীরিক চাপ বৃদ্ধি পায়, রক্তের চাপ বাড়ে, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয় এবং উভয়েই চূড়ান্ত আনন্দের জন্যে অস্থির হয়ে ওঠে

নারীর যৌনজীবন পুরুষের চেয়ে অপেক্ষাকৃত ভিন্ননারীর যৌনতার সংস্কৃতিও বোধ করি পুরুষের চেয়ে অনেকখানি আলাদানারীর যৌন-আগ্রহ-ইচ্ছা, যৌনতার চরম আনন্দ ইত্যাদি প্রতিটি পর্বে পুরুষের চেয়ে স্বতন্ত্র অবস্থার সৃষ্টি করে
প্রথম যুগের মানুষের যৌনতা ছিল কেবলমাত্র ক্ষণিক আনন্দের একটি উৎসপরবর্তী সময়ে যৌনতার ব্যবহারিক পরিবর্তন দেখা দেয়একসময় এক নারী একই সঙ্গে একই পরিবারের সবার সাথে যৌনমিলনে রত হতে পারতোএটি ছিল যৌনতার সংস্কৃতিতখনকার সমসাময়িক যৌনসংস্কৃতি ছিল এই রকমযুগে যুগে যৌনসংস্কৃতি পরিবর্তিত হয়েছেআবার যৌনতার ব্যাপারে ধর্মীয় নানা মতবাদের প্রভাবে যৌনতার বিষয়টি একেক সমাজে একেকভাবে অনুশীলন করা হয়ে থাকে
বর্তমান সময়ে এই নতুন যুগে যৌনতার ব্যাপারটি নানা দিক থেকে আধুনিক হয়ে উঠেছেবর্তমান সময়ে যৌনাসনের পাশাপাশি যৌনক্রীড়াতে নানা পরিবর্তন, ছন্দ দেখা যায়নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে যৌনতার আবহ একেক না্রী-পুরুষের ক্ষেত্রে একেক রকমযখন কোনো প্রেমিকের সাথে যৌনমিলন বা ডেটিং করে তখন যৌনতার ব্যাপারটি যেভাবে হতে পারে ঠিক সেভাবে স্বামী-স্ত্রীর যৌনতার ব্যাপারটি সংঘটিত হয় নাএকই নারী যখন বহু পুরুষের সাথে যৌনমিলন বা যৌনসর্ম্পক স্থাপন করে, তখনও আবার যৌনতার সংস্কৃতি ভিন্ন হয়

 

 

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে যৌনতার ব্যাপারটি সব সময় একই ধারায় এগিয়ে চলে না যৌনমিলনের ব্যাপারে বা যৌনতার ব্যাপারে সব নারীরই ইচ্ছা একই রকমও হয় না এটিও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার কোনো কোনো নারী অত্যধিক যৌনকাতর আবার কোনো কোনো পুরুষের যৌন-ইচ্ছা থাকে বেশি অর্থাৎ যৌনতার ব্যাপারে তাদের আগ্রহ এবং যৌনমিলনের ইচ্ছা থাকে ব্যাপক

আবার কোনো কোনো নারী-পুরুষসুস্থযৌনতার পক্ষপাতি এবং তারা প্রয়োজনমাফিক যৌনমিলন পছন্দ করে আবার কিছু কিছু নারী-পুরুষ যৌনতাকে খুবই কম মাত্রায় পছন্দ করে অনেকের ব্যাপারে ভীতিও থাকে যৌনতার ব্যাপার বিশেষ করে নারী, পুরুষের যৌনতার ব্যাপারে উৎসাহ এবং আগ্রহ যদি না থাকে তবে চরম পুলক আসতে পারে না

 

নারীদের যৌনইচ্ছার সময়সীমা-

. মেয়েদের যৌন-চাহিদা ছেলেদের ভাগের এক ভাগ কিশোরী এবং টিনেজার মেয়েদের যৌনইচ্ছা সবচেয়ে বেশি ১৮ বছরের পর থেকে মেয়েদের যৌন চাহিদা কমতে থাকে, ৩০ এর পরে ভালই কমে যায়

. ২৫-এর উর্দ্ধে মেয়েরা স্বামীর প্রয়োজনে যৌনকর্ম করে ঠিকই কিন্তু একজন মেয়ে মাসের পর মাস যৌনকর্ম না করে থাকতে পারে কোনো সমস্যা ছাড়া

. মেয়েরা রোমান্টিক কাজকর্ম যৌনকর্মের চেয়ে অনেক বেশি পছন্দ করেবেশিরভাগ নারীই গল্পগুজব, হৈ-হুল্লোড় করে যৌনকর্মের চেয়ে বেশি মজা পায়
. মেয়েরা অর্গ্যাজম করে ভগাঙ্কুরের মাধ্যমে
. ভগাঙ্কুরের মাধ্যমে অর্গ্যাজমের জন্য যৌনকর্মের কোনো দরকার নেই!
. শারীরিক মিলনে নারীরা উত্তেজিত আর আনন্দিত হন ঠিকই কিন্তু অর্গ্যাজম হওয়ার সম্ভাবনা %-এর চেয়েও কম!

Comments