Skip to main content

33.নারীর প্রায় পুরো শরীরটিই স্পর্শকাতর


আগের বিভিন্ন লেখায় বর্ণনা করা হয়েছে যে, মেয়েদের দেহে শুধুমাত্র যোনী, স্তন আর নিতম্বই তাদের একমাত্র যৌনস্পর্শকাতর অঙ্গ নয়

বলতে গেলে

নারীর প্রায় পুরো শরীরটিই স্পর্শকাতর আর এর মধ্যে কিছু কিছু স্থান রয়েছে যেগুলোতে আদর পেলে তারা চূড়ান্ত উত্তেজনার দিকে তড়িৎগতিতে অগ্রসর হয় তবে ছেলেদের দেহেরও শুধুমাত্র লিঙ্গই একমাত্র যৌন অঙ্গ নয়

এই অত্যাধুনিক যুগে ১০-১২ বছরের ছেলে-মেয়েরা পর্যন্ত জেনে যাচ্ছে কীভাবে সেক্স করতে হয়

তাই বলা যায়, বিয়ে তো বহুদূরের কথা, এখনকার ছেলেমেয়েদের গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড হওয়ার আগেই তারা বিষয়ে বহুকিছু জানে কিন্ত তাদের জানাই কি যথেষ্ট? ছোটকালে বাচ্চারা একটা খেলা খেলে, এটাকে ওরা বলে ডাক্তার-ডাক্তার খেলা বিশেষ করে একটি বাচ্চা ছেলে মেয়ে খেলার সাথী থাকলেই তারা লুকিয়ে এই খেলা খেলে থাকে এতে দুজনেই কাপড়-চোপড় খুলে নিয়ে একজন-আরেকজনের যৌনস্পর্শকাতর অঙ্গ নিয়ে খেলা করে, তাদের মাঝে পার্থক্য আবিষ্কার করে

সবার অবশ্য অভিজ্ঞতা হয় না

সে যাই হোক, মোটকথা আমাদের সঙ্গী-সঙ্গিনীকে পরিপূর্ণ যৌনসুখ দিতে হলে তাদের যৌনস্পর্শকাতর অঙ্গগুলো সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার অনেকে বলতে পারেন কী দরকার? নিজে মজা পেলেই তো হলো! তাদের জন্য বলছি, আমার প্রয়াস ভালোবাসার অনুভুতিবিহীন যৌন-লালসাময় সেক্সের জন্য নয় যে তার সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে ভালবাসে সে অবশ্যই চাইবে পার্টনারকে আনন্দ দিতে এবং এতে সে নিজেও আনন্দ লাভ করে

মূলত ছেলে মেয়ের যৌনস্পর্শকাতর অঙ্গ গুলোর মধ্যে অনেকগুলোই Common রয়েছে এবং তাদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ছেলে বা মেয়েভেদে প্রায় একই হলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন অধ্যায়ে স্পর্শকাতর অঙ্গগুলোর বিবরণ ছাড়াও কী কী উপায়ে সেগুলোকে উত্তেজিত করে তোলা যেতে পারে তার ওপর আলোকপাত করা হবে

 

মেয়েদের ক্ষেত্রে

মেয়েদের দেহের বেশ কয়েকটি যৌনস্পর্শকাতর অঙ্গ আছে যেগুলো সরাসরি তাদের যৌনত্তেজনার সূচনা ঘটায় সাধারণ অবস্থা থেকে অংশগুলোর মাধ্যমেই একটি ছেলে তার মাঝে যৌনাভুতি জাগিয়ে তুলতে পারে আর কিছু অংশ আছে যেগুলো মেয়েটির যৌনত্তেজনার সূচনা ঘটার পরই উত্তেজিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠে, অথচ সাধারণ অবস্থায় এগুলো উত্তেজিত করার চেষ্টা করলে মেয়েটি এমনকি ব্যথা বা অসস্তিও বোধ করতে পারে মেয়েদের সবচাইতে যৌনস্পর্শকাতর অঙ্গটিও এই দ্বিতীয় শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত

 

. ঠোঁট জিহ্বা

ঠোট নারীদেহের সবচাইতে যৌনস্পর্শকাতর অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি ঠোঁটের মাধ্যমেই সমগ্র নারীদেহ উত্তেজনার সূচনার সবচেয়ে জোরালো সংকেতটি গ্রহণ করে থাকে এতে একটি ছেলের ঠোঁটের স্পর্শ (এখানে লেসবিয়ানদের কথা বলা হচ্ছে না) মেয়েটির সারা দেহে যেন বিদ্যুতের গতিতে কামনার আগুন ছড়িয়ে দেয় তবে আরেকটি ঠোঁটের স্পর্শই যে শুধুমাত্র মেয়েটিকে উত্তেজিত করে তুলবে তা নয় ছেলেরা অন্যভাবেও মেয়েটির ঠোঁটের মাধ্যমে তার দেহের মাঝে ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে পারে আঙ্গুল দিয়ে মেয়েটির ঠোঁটে হাত বুলিয়ে দেওয়া, ওখানে নিজের নাক ঘঁষা - এভাবেও ছেলেটি সঙ্গিনীকে উত্তেজিত করে তুলতে পারে আর ঠোঁট দিয়েও একবার মেয়েটির উপরের ঠোঁট আরেকবার ওর উপরের ঠোঁট চুষে, মাঝে মাঝে ঠোঁট থেকে একটু সরে গিয়ে থুতনিতে চুমু খেয়েও আদর প্রকাশ করতে পারে এটি আসলে কাউকে যৌন-আনন্দ দেওয়ার উপক্রম করেও তা সঙ্গে সঙ্গেই না দিয়ে তাকে সে আনন্দ পাবার জন্য আরও পাগল করে তোলার একটি কৌশল আর মেয়েরা তাদের জিহ্বা দিয়ে শুধুই খাদ্যের স্বাদ গ্রহণ করে না, সঙ্গীর আদরের স্বাদও এর মাধ্যমেই অনুভব করে তাদের জিহ্বা একটি ছেলের মুখের ভেতরের উষ্ণতা খুঁজে নেয় এর মাধ্যমে সে ছেলেটির জিহবা থেকে যে অনুভুতি গ্রহণ করে তা তার সারাদেহকে ওর কাছে সঁপে দেওয়ার জন্য উদগ্রিব করে তোলে চুমু খাওয়ার সময় ছেলেটি মেয়ের মুখের ভেতরে তার জিহ্বা ঢুকিয়ে দিয়ে নাড়াচাড়া করে তার মুখের ভেতরেও কাঁপন বইয়ে দিতে পারে আর মেয়েটির জিহবা চুষলে তো কথাই নেই এভাবে মেয়েটির জিহবার স্বাদ নিয়ে ছেলেটি ওকে আদর করার জন্য মেয়েটিকে আরও উন্মুখ করে তুলতে পারে তবে মেয়েদের ঠোঁট জিহবা যে শুধুই পরোক্ষ আদরে উদ্বেল হয় তা নয় মেয়েটি তার সঙ্গীর গালে, গলায়, বুকে, কান এদের স্পর্শ করলে ছেলেটি যেমন আনন্দ পায় তেমনি মেয়েটিও অন্যরকম এক আনন্দ লাভ করে অনেক পর্ন মুভিতে দেখা যায় যে সেখানে মেয়েগুলো ছেলেদের লিঙ্গ চুষতে খুব পছন্দ করে বাস্তবে বিশেষ করে আমাদের দেশের অনেক মেয়েই ছেলেদের লিঙ্গে মুখ দেওয়াটাকে চরম ঘৃণ্য একটা কাজ বলে মনে করে অথচ, বিদেশে বাস্তবেও অনেক মেয়েই ছেলেদের লিঙ্গ শুধু তাকে আনন্দ দেওয়ার জন্যই চোষে না সে নিজেও এতে আনন্দ পায় এর মূল কারণই হলো তার ঠোঁট জিহ্বার স্পর্শকাতরতা ছেলেটির দেহের অন্যান্য অংশে দুটি দিয়ে স্পর্শ করে সে যে আনন্দ লাভ করে, সেই একই কারণেই ছেলেটির লিঙ্গের স্পর্শে তার আনন্দ হয় এক্ষেত্রে একমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার ঘেন্না; যেটা কাটিয়ে উঠতে পারলেই সে এক নতুন ধরনের যৌনসুখ আবিষ্কার করে তার জিহ্বার সাথে উত্তপ্ত লিঙ্গটির স্পর্শ, তার মুখের ভেতরে সেটির অবস্থান তাকে তার যোনীর ভেতরে এর অবস্থানের চেয়ে কম আনন্দ দেয় না, যদি সে একবার বুঝে যায় এর মজা যোনীর চাইতে তুলনামূলক কম যৌনকাতর হলেও মেয়েদের মুখের সচেতনতা এর চেয়ে বেশি; ফলে সে ওখানে ছেলেটির লিঙ্গের অবস্থানের সময় সে এমনকি লিঙ্গের মাঝে উত্তেজিত রক্তের চলাচল, কাঁপুনি, উত্তাপ ইত্যাদি অনুভব করতে পারে ভালোবাসার সময় অনুভুতি ছেলেটিকে আদর করার জন্য ওকে আরও উদ্বেল করে তোলে আর তার মুখের ভেতরে যখন ছেলেটি বীর্যপাত করে তখন ছেলেটির উত্তেজনা মেয়েটির মাঝেও ছড়িয়ে পড়ে, তার জিহবা ঠোঁটের মাধ্যমে যেসব মেয়েরা লিঙ্গ চোষাকে ঘৃণা করে তারা কীভাবে এর মজাকে আবিষ্কার করতে পারে তা নিয়ে একটা বিদেশি বইয়ের article পড়ানোর পর বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি মেয়ের ইতিবাচক মতামত পাওয়া গেছে ১০ জন মেয়ের মধ্যে জনই জানিয়েছে, সঙ্গীটি রুচিশীল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে এবং সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা থাকলে লিঙ্গ চুষে তারা বেশ মজাই পায় এতে মেয়েরা নিজেও যৌন-আনন্দ লাভ করে

 

. গাল, কপাল, কানের লতি

মেয়েদের এ স্থানগুলো তাদের যৌনস্পর্শকাতর অন্যতম সূচক হিসেবে কাজ করে এসকল স্থানে ছেলেটির ঠোঁট জিহ্বার স্পর্শ মেয়েটির দেহের মাঝে তার ভালোবাসাকে ছড়িয়ে দেয়; মেয়েটি বুঝতে পারে, ছেলেটি তাকে চায়, তার সবকিছুই চায় মেয়েটির স্থানগুলো ছেলেটির দ্বারা অবহেলিত হলে সে পরিপূর্ণভাবে যৌনসুখ অনুভব করতে পারে না তাই, সেক্স - সে যার সাথেই করা হোক না কেন, তার মধ্যে সামান্য হলেও ভালোবাসা-আদরের ছোঁয়া না থাকলে এর আনন্দ অসম্পূর্ণ থেকে যায়

 

. গলা

মেয়েদের গলায় স্পর্শ ওদের উত্তেজনায় পথে এগিয়ে নিতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে ছেলেটি মেয়েটির ঠোঁটে চুমু খেতে খেতে এর ফাঁকে ফাঁকেই গলায় ঠোঁট নামিয়ে এনে ঠোঁট দিয়ে খেলা করলে ওর দারুণ এক অনুভূতি হয়! প্রায় সব মেয়েরই গলার অংশটুকু বেশ সংবেদনশীল মেয়েটির ঠোঁটে চুমু খেয়ে তার গলায় নেমে আসলে তার যে সুঁড়সুঁড়ির মতো অনুভূতি হয় তাতেও একই সাথে সুখ এবং এক ধরণের অস্বস্তি লাভ করে ওর মন চায় ছেলেটি ওর গলায় আরও সোহাগ বুলিয়ে দিক আর ওর ঠোঁট চায় আবার সেখানে ছেলেটির ঠোঁটের স্বাদ এভাবে ‘tease’ করে ছেলেটি মেয়েটিকে উত্তেজনায় পাগলপ্রায় করে তুলতে পারে

 

. স্তন

প্রায় সব ছেলেরই মেয়েদের দেহের সবচাইতে প্রিয় স্থান দুটি স্তন মেয়েদের দেহের সবচাইতে যৌনস্পর্শকাতর অঙ্গগুলির মাঝে এটি যে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে তা বলাই বাহুল্য ছেলেদের ওদের প্রতি আকৃষ্ট করায় এর জুড়ি নেই মেয়েভেদে স্তনের আকার যে ছোট-বড় হয় সে হিসেবে তাদের স্পর্শকাতরতারও কিছুটা রকমফের হয় মেয়েদের স্তনের বেশিরভাগটাই চর্বি দিয়ে তৈরি দেহের চর্বিবহুল অংশগুলিতে এমনিতেই স্পর্শকাতরতা কম হয় সে কারণেই যে মেয়েদের স্তন বেশি বড় থাকে স্বভাবতই তাদের স্তনের সংবেদনশীলতা তুলনামূলক ছোট স্তনের মেয়েদের থেকে সামান্য হলেও কম থাকে এজন্যই বেশিরভাগ বড় স্তনের মেয়েরা বেশ জোরে জোরে ছেলেদের হাতে চাপ খেতে পছন্দ করে; তাদের উত্তেজিত করে তুলতে ছেলেদের একটু রুক্ষ্মভাবে তৎপর হতে হয় অবশ্য ছেলেদেরও এক্ষেত্রে কোনো আপত্তি থাকে বলে মনে হয় না তাদের স্তনে জোরে জোরে হাত দিয়ে টেপা ছাড়াও ওগুলো চোষার সময় হাল্কা হাল্কা কামড় দিলে তারা দ্রুত উত্তেজিত হয় তবে কামড়টা হতে হবে বোঁটার আশেপাশে কিন্ত সরাসরি বোঁটায় নয় অন্যদিকে মাঝারি ছোট স্তনের মেয়েদের স্তনের সংবেদনশীলতা তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে তাই তাদের স্তন টেপার সময় শুরুতে একটু ধীরে ধীরেই করতে হবে আর কামড় দেওয়ার ব্যাপারেও সাবধান থাকতে হবে কারণ বেশি সংবেদনশীলতার জন্য তারা এক্ষেত্রে বেশ ব্যথাও পেতে পারে তবে ছোট-বড় যে স্তনই হোক না কেন, সেগুলো টেপা বা চোষার সময় ছেলেদের সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন দুটি স্তনেই তাদের হাতের ছোঁয়া থাকে একটি চোষার সময় অন্যটি হাত দিয়ে টিপতে থাকতে হবে আর মেয়েদের স্তনে আনন্দ দেওয়ার আরেকটি পদ্ধতি হলো ছোট হলে পুরোটাই আর বড় হলে যতটুকু সম্ভব স্তনটি মুখের ভেতরে ভরে নিতে হবে তারপর জিহ্বা দিয়ে বোঁটার উপরে বুলাতে থাকতে হবে এতে মেয়েরা দারুণ মজা পায় আর মেয়েদের স্তনের মধ্যেও সবচেয়ে স্পর্শকাতর হল তাদের বোঁটা বোঁটায় আদর করার জন্য প্রথমে মেয়েটির স্তনের অন্যান্য অংশ টিপে তাকে উত্তেজিত করে নিতে হবে তারপর এভাবে শুরু করা যেতে পারে; ওর স্তনের বোঁটার উপর হাতের তালু রেখে পিঠা বানানোর জন্য বেলার মতো করে হাত বুলাতে থাকতে হবে এর আগে ওর স্তনে একটু চুষে নিলে আপনার মুখের লালা সেখানে লেগে থাকলে এভাবে তালু দিয়ে বোটাটি ম্যাসাজ করা অত্যন্ত উপভোগ্য হয়ে উঠবে তারপর মুখ নামিয়ে দুটি ঠোঁট দিয়ে শুধু ওর বোঁটাটি চেপে ধরেও চোষা যায় সঙ্গিনী উত্তেজিত হয়ে উঠলে মুখের আরও ভেতরে নিয়ে বোঁটায় হাল্কা করে দাঁত বুলিয়ে দিলে ওর উত্তেজনা চরমে পৌঁছাবে

 

. দুই স্তনের মাঝের ফাকা স্থান (Cleavage)

মেয়েদের দুই স্তনের মাঝের এই যৌন-উত্তেজক ভাঁজটি তাদের প্রতি ছেলেদের আকৃষ্ট করতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে, কিন্তু বেশিরভাগ ছেলেই এর দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে অবশেষে যখন ওদের নগ্ন স্তন যুগলের দেখা পায় তখন যে এদের মাঝে ওদের যে একটা বেশ স্পর্শকাতর স্থান রয়েছে তা বেমালুম ভুলে যায় মেয়েরা তাদের স্তনে ছেলেদের মুখ আশা করার পূর্বে অবচেতন মনে তার দেহের যে অংশটি তার সৌন্দর্যকে অপরূপভাবে ফুটিয়ে তুলেছে সেই স্তনের ভাঁজে ছেলেটির আদর চায় আবেগময় সেক্সের সূচনা কোনো প্রকার Foreplay (এর অর্থ সেক্সের আগে এর জন্য মেয়েটিকে প্রস্তুত করে তোলার জন্য আদর-সোহাগ) ছাড়া হতেই পারে না তাই মেয়েটির গলায় চুমু খেতে খেতে ওর দুই স্তনের ফাঁকা স্থানে ছেলেটিকে মুখ নামিয়ে এনে, এখানে চুমু খেয়ে, জিহ্বা বুলিয়ে, আদর করলে এমন অবস্থা হবে যে সে নিজেই আপনার মুখ তার স্তনের দিকে টেনে নিয়ে যাবে

 

. বগলের নিচ

এটা হয়তবা আপনাদের কাছে নতুন লাগছে কিন্ত বাস্তবিকই, মেয়েদের বগলের নিচে যে তাদের যৌনস্পর্শকাতর একটি স্থান রয়েছে তা অনেকেরই অজানা মেয়েদের কিছু যৌনস্পর্শকাতর অঙ্গ রয়েছে যেগুলোতে আদর করে, মেয়েটি যৌন-উত্তেজিত অবস্থায় না থাকলে, তাকে যৌনসুখ দেওয়া যায় না বরং তার ব্যথা বা অসস্তি হয় ওদের বগলের নিচ তেমনই এক স্থান উত্তেজিত অবস্থা মেয়েটির বগলের নিচে চুমু খাওয়া, জিহ্বা দিয়ে চেটে দেওয়া ওর জন্য বেশ যৌনান্দদায়ক

 

. নাভী

মেয়েদের নাভী এবং এর আশেপাশের স্থানগুলিও অত্যন্ত সংবেদনশীল ওখানে চুমু খাওয়া, আঙ্গুল দিয়ে চাপ দেওয়া, জিহ্বা বুলিয়ে দেওয়া, চোষা ইত্যাদি করা ওকে ‘tease’ করার এক অনন্য উপায়

 

. নিতম্ব

মেয়েদের দেহের সবচেয়ে চর্বিবৎসল অংশ; দেহের যে-কোন স্থানের চেয়ে এর সংবেদনশীলতা তুলনামূলক কম (স্কুলে থাকতে যারা নিতম্ব এবং হাত - দু স্থানেই শিক্ষকের বেতের বাড়ি বা উত্তমমধ্যম খেয়েছেন তারা আশা করি এখনও ভুলেন নি কোন্ জায়গার ব্যথা সামান্য হলেও সহনীয় ছিল!) তাই বলে মেয়েদের সেক্স উত্তেজনায় নিতম্বের ভূমিকাকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখা যাবে না ছেলেদের আকৃষ্ট করায় এর অবদান অনস্বীকার্য তাই ছেলেরাও চায় একে নিজ হাতে আকড়ে ধরে তার চোখ, তার মনে যে তৃষ্ণা সৃষ্টি করেছিল তা মিটিয়ে নিতে আর মেয়েরাও তো তাই চায় ছেলেরা যতই পাগলের মতো তার গোপন হয়েও উন্মুক্তঅঙ্গটি ধরে ধরে আদর করে তারা ততই উত্তেজিত হয়ে উঠে উম্মাদ-মাতাল সেক্সের বেলায় মেয়েদের নিতম্বে হাত দিয়ে জোরে জোরে চাপর দিয়ে তাদের বেশ উত্তেজিত করে তোলা যায় তবে রোমান্টিক সেক্সের সময় (বিভিন্নরকম Mood এর সেক্স যেমন - rough, sensual, forced, surprise, fetish, bondage ইত্যাদি সম্পর্কে পরবর্তী কোনো এক লেখায় বিস্তারিত আলোচনা করা হবে) সবচেয়ে ভালো উপায় হল মেয়েটির নিতম্বে হাত দিয়ে ম্যাসাজ করে দেওয়া তবে একেবারে মোলায়েম ভাবে নয়, একটু জোর দিয়ে করতে হবে

 

. হাঁটু

মেয়েদের হাঁটু একটি মোটামুটি স্পর্শকাতর অঙ্গ সরাসরি সেক্সের সময় এর ভূমিকা তেমন একটা নেই তবে সেক্সের সূচনায় এটি বেশ কিছুটা অবদান রাখে কোনো প্রেমিকযুগল একসাথে বসে পড়াশোনা, খাওয়া এসব করার সময়, ছেলেটি টেবিলের নিচে তার নগ্ন পা মেয়েটির নগ্ন পায়ের সাথে স্পর্শ করিয়ে হাঁটুতে বুলিয়ে দিতে পারে মেয়েরা এই জিনিস খুব উপভোগ করে এই ধরনের আদরকে বলা হয় Footsie. আদর মেয়েটিও ছেলের পায়ে করতে পারে, ছেলেদের হাঁটু এক্ষেত্রে মেয়েদের মতো অতটা সংবেদী না হলেও মেয়েটির নরম পায়ের স্পর্শ ওর কাছে দারুণ লাগে! সেক্সের মুড তৈরি করতে এর জুড়ি মেলা ভার

 

১০. উরু পায়ের পাতা

মেয়েদের আরেকটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর অংশ হল তাদের উরুদ্বয় বিশেষ করে হাঁটুর উপরিভাগ থেকে এর স্পর্শকাতরতা বাড়তে বাড়তে উরুসন্ধি, তথা তাদের যোনীর আশপাশে গিয়ে চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছে এটিও সেসব অংশের অন্তর্ভুক্ত যেগুলি দিয়ে সরাসরি মেয়েটির উত্তেজনার সূচনা ঘটিয়ে তাকে যৌন-আনন্দ দেওয়া যায় যোনীর কাছাকাছি বলে এর মাধ্যমে মূলত মেয়েটিকে যোনীতে স্পর্শ পাবার জন্য উন্মুখ করে তোলা যায় মেয়েটি যদি স্কার্ট বা নিচ উন্মুক্ত, এমন কোনো কাপড় পড়ে থাকে তবে, তাকে চুমু খেতে খেতে যৌনমিলনের শুরুর দিকে তার হাঁটু থেকে হাত উঠানামা করে উরুসন্ধির কাছে এনে আবার নামিয়ে ম্যাসাজ করলে সে বেশ দ্রুত উত্তেজিত হয়ে ওঠে আর কিছু মেয়ের ক্ষেত্রে শোনা যায়, তাদের পায়ের পাতা এতটাই স্পর্শকাতর থাকে যে শুধুমাত্র সেখানে আদর পেয়েই অনেকসময় তারা চরম সুখের কাছাকাছি চলে যায় তবে কমবেশি সব মেয়েরই পায়ের পাতা বেশ যৌনকাতর থাকে মেয়েটির উপরাংশ উত্তেজিত করেই সহজে তার যোনীতে যাওয়া চলবে না উপরিভাগ উত্তেজিত করে (উপরে সে অংশগুলোর কথা বলা হয়েছে) সেখান থেকে সরাসরি তার পায়ে চলে যাওয়া যেতে পারে মেয়েটির পায়ের পাতার নিচ চেঁটে দেওয়া, তার আঙ্গুলগুলি, বিশেষ করে বুড়ো আঙ্গুল মুখে নিয়ে চুষা, পাতার উপরিভাগে জিহ্বা বুলিয়ে হাঁটু থেকে উঠে আসা এসবই তার পাকে উত্তেজিত করে তোলার উপায় এরপর ওর উরুতে আস্তে আস্তে উঠে সেখানে চুমু দেওয়াসহ জিহবা বোলালে ভালো ফল পাওয়া যায় তবে স্তনের মতোই দুই উরুর কোনো একটি অবহেলা করে ফেলে রাখা যাবে না একটিতে আপনার মুখ থাকলে অন্যটিতে একটি হাত থাকতেই হবে আর এভাবে মেয়েটির নিম্নাংশে, বিশেষ করে উরুতে আদর করার সময় অবশ্যই একটি হাত দিয়ে হলেও সেটি দিয়ে হাত যতখানি যায় মেয়েটির দেহের উপরিভাগের সাথেও স্পর্শ রাখতে হবে উরুতে জিহ্বা বুলিয়ে দেওয়ার শুরুতে ওর যোনীর আশপাশে জিহ্বা নিয়ে সেটা স্পর্শ না করেই আবার উরুতে ফিরিয়ে আনবেন, তবে ফাঁকে ফাঁকে যোনীতে আঙুলের সামান্য ছোঁয়া লাগিয়েই আবার সরিয়ে উরুতে নিয়ে যেতে হবে, মেয়েটি আপনার হাত টেনে সেখানে নিয়ে যেতে চাইবে কিন্ত আপনি কিছুতেই নেবেন না ওর উরুতে জিহ্বা বুলিয়ে, ফাঁকে ফাঁকে উপরে উঠে ওর স্তনে একটু টিপে দিয়ে ওকে আরও উত্তেজিত করে তুলবেন যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার সঙ্গিনী আপনার মনোযোগ ওর যোনীতে নেওয়ার জন্য বলতে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু করে দেয়! অবস্থায় ওর অবহেলিত যোনীতে আপনার হাতের স্পর্শ পেলে সেখানে আদর পাওয়ার জন্যরাক্ষুসীহয়ে উঠে আপনাকেও আদর করতে থাকবে! আর ঠোঁটের স্পর্শ পেলে কী হবে সেটা আর নাই বা বললামআপনি নিজেই দেখে নিন!!

 

১১. যোনী তার আশেপাশের অঞ্চল

এখন আমরা মেয়েদের সবচাইতে যৌনসংবেদী অঞ্চল সম্পর্কে জানব এর মাঝে অনেককিছুই হয়তো আপনার জানা আছে এবং অনেককিছুই নেই সেই না জানা অংশগুলিই হয়তোবা আপনার জানা সবচেয়ে জরুরি মূলত যোনী বলতে আমরা অনেকেই মেয়েদের উরুসন্ধির সমগ্র অঞ্চলটাই বুঝি; কিন্ত প্রকৃতপক্ষে মেয়েদের যে ছিদ্রটি দিয়ে ছেলেদের লিঙ্গ ঢুকে শুধু সেটাকেই যোনী বলে এর আশেপাশে যে অঞ্চলগুলি রয়েছে, সেগুলিকে বেশ কয়েকটি অংশে ভাগ করা যায় সংবেদনশীলতায় এদের একটি আরেকটি থেকে তুলনামূলক ভিন্ন রকমের তবে স্পর্শকাতরতায় স্থানসমূহ নারীদেহের অন্য যে-কোন স্থান হতে বেশি এতক্ষণ পর্যন্ত মেয়েদের দেহের অন্যান্য যৌনকাতর অংশসমূহের কথা আলোচনার সময় আপনারা হয়ত ভেবে বিরক্ত হয়েছেন কেন বারবার বলা হয়েছে যে, মেয়েটির অন্যান্য অঙ্গে আদর করে তাকে পাগলের মতো উত্তেজিত করার আগ পর্যন্ত তার যোনী এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে যেতে এর মূল কারণ হচ্ছে, যোনীর অতিরিক্ত স্পর্শকাতরতা এর ল্যাবিয়া মাইনরা ম্যাজরা অঞ্চল সরাসরি স্পর্শের মাধ্যমে উত্তেজিত করা গেলেও অর্থাৎ মেয়েটিকে উত্তেজিত করে তুলতে যাওয়ার প্রথম দিকে এগুলি নিয়ে খেলা করলে মেয়েটি মজা পায় ঠিকই কিন্ত ওর দেহের সবচেয়ে বেশি যৌনকাতর অঙ্গ, যেটার অন্য নামই হলো আনন্দের সুইচ (Pleasure button), সেই ভগাঙ্কুরের (Clitoris) স্পর্শকাতরতা হেলাফেলা করার নয় মেয়েটি উত্তেজিত না হওয়া অবস্থায় স্থানে ছেলেরা তাদের আঙ্গুল ঘষলে বা চুষতে গেলে মেয়েটি আনন্দ তো দূরের কথা বরং হাল্কা অস্বস্তি থেকে শুরু করে বেশ ব্যথাও পেতে পারে এর ফলে ওর পুরো সেক্সের মুডটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে আর হ্যাঁ, অনেক ছেলে আছে যারা নোংরা মনে করে ঘেন্নায় যোনীতে মুখ দিতে চায় না তাদের জন্য বলছি, মেয়েটি যদি সুস্থ-সবল হয়ে থাকে তবে তার যোনীতে কোনো ক্ষতিকর কিছু থাকার সম্ভাবনা নেই ওদের যোনীরসে (যা মেয়েটি যৌন-উত্তেজিত না হলেও সাধারণ অবস্থায় প্রায়ই কিছুটা নির্গত হয়) ব্যাক্টেরিয়া ক্ষতিকর জীবাণুনাশক পদার্থ থাকে যা যোনীকে জীবাণুমুক্ত রাখে নিচে আলাদা আলাদা করে মেয়েদের যোনী অঞ্চলের অংশগুলোর কথা বলা হল

 

) মোনস পিউবিস : যোনীর একেবারে উপরিভাগে যে ফোলা ফোলা অংশ থাকে তাকে মোনস পিউবিস বলে অঞ্চলেই মূলত মেয়েদের যৌনকেশ সবচেয়ে বেশি থাকে অনেকে অঞ্চলটিতে যৌনকেশ পছন্দ করেন আবার অনেকে সেভ করা পছন্দ করেন তবে যেভাবেই হোক স্থানটি বেশ সংবেদী মূলত যোনীতে মুখ দেওয়ার আগে, অন্য কোথাও মেয়েটিকে আদর করার সময় ফাঁকে ফাঁকে এখানে চুমু খেয়ে ওকে ছেলেরা ‘tease’ করে থাকে এই স্থানে যৌনকেশ থাকলে অনেক ছেলে নিচে যোনী চোষার সময় নিজের ঠোঁটের উপরের স্থানে নাকে এই চুলগুলোর সুঁড়সুঁড়ি খেতে পছন্দ করে

 

) ল্যাবিয়া মেজরা : মোনস পিউবিসের নিচেই সমগ্র যোনী অঞ্চলকে ঘিরে থাকা বড় নিম্ন ঠোঁট হিসেবে পরিচিত পাতলা চামড়ার অংশটিই এটি ছেলেদের অণ্ডথলির চামড়ার মতো একই Embryonic tissue দিয়ে এটি তৈরি মেয়েটি উত্তেজিত হলে এটি প্রসারিত হয়ে যায় এটি যথেষ্ট স্পর্শকাতর হলেও, যোনীর অন্যান্য অঞ্চল থেকে তুলনামূলক কম সংবেদী এর চারপাশে জিহ্বার আগা লাগিয়ে লাইনের মত টেনে টেনে, ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরে উত্তেজিত করা যেতে পারে

 

) ল্যাবিয়া মাইনোরা : ল্যাবিয়া মেজরার ভেতরের ভাঁজে থাকে ল্যাবিয়া মাইনোরা (ছোট নিম্ন ঠোঁট) এই চামড়ার স্তরটি ভগাঙ্কুর, মূত্রপথ যোনীকে ঘিরে থাকে অনুত্তেজিত অবস্থায় এটি মেয়েটির যোনীমুখ ঢেকে রাখে এর ভেতরের স্তরে অসংখ্য ছোট ছোট তেলগ্রন্থি রয়েছে প্রচুর স্নায়ুকোষ সমৃদ্ধ অঞ্চলটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং মেয়েটির যোনী অঞ্চলের উত্তেজনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মূলত যোনী চোষা বলতে এই অংশটুকু চোষাকেই বোঝায় ভগাঙ্কুরের নিচে যোনিদ্বার মূত্রপথের আশপাশের প্রায় ফুটন্ত গোলাপের মতো দেখতে এই অংশটিতে আঙ্গুল দিয়ে নাড়াচাড়া করে, জিহ্বা দিয়ে চেঁটে, আইসক্রিম চোষার মতো করে চুষে ক্লাইটোরাল বা জি-স্পট অর্গাজমের জন্য মেয়েটিকে পর্যাপ্ত উত্তেজিত করে তোলা যায়

 

) যোনী : নারীদেহের প্রজনন অঙ্গের প্রধান অংশ ম্যাবিয়া মাইনোরার ভেতরে ক্লাইটোরিস গ্ল্যান্ড মূত্রছিদ্রের নিচেই এর মুখ অবস্থিত যোনীর কথা বলার অাগে কুমারী মেয়েদের যোনিপর্দা (Hymen) নিয়ে একটা সাধারণ ভুল ধারণা সম্পর্কে বলা যাক যৌন বিষয়ে অনভিজ্ঞ কিছু লেখকের চটি পড়ে যারা কখনও সেক্স করেন নি তাদের অনেকেরই ভুল ধারণা এই যে, যোনীর সামান্য একটু ভেতরে যোনিপর্দা অবস্থিত কিন্ত প্রকৃতপক্ষে যোনীর প্রবেশমুখেই যোনিপর্দা অবস্থিত তবে পর্দা যোনীকে আংশিক ঢেকে রাখে; এর মাঝে একটা ফুটো থাকে, যার মাধ্যমে মেয়েদের রজঃস্রাব নিসৃত হয় বেশিরভাগ কুমারী মেয়ের পর্দার ফুটো দিয়ে ইচ্ছে করলে আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে হস্তমৈথুন করার মত বড় হলেও, একটি ছেলের লিঙ্গ প্রবেশ করার জন্য এটি যথেষ্ট বড় থাকে না তাই প্রথমবারের মতো কোনো ছেলের লিঙ্গ প্রবেশ করানোর সময় পাতলা পর্দাটির মূল অংশটি ছিঁড়ে যায় অবশ্য যোনিমুখের আশপাশে এর অংশবিশেষ থেকে যায় তবে এটা কিন্ত কুমারীত্বের একেবারে নির্ভরযোগ্য চিহ্ন নয়, অনেক কুমারী মেয়ের জন্মলগ্ন থেকেই পর্দার ফুটো এতই বড় থাকে যে পর্দার অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায় না সে যাই হোক, যোনী নারীদেহের অত্যন্ত যৌনস্পর্শকাতর একটি অংশ ছেলেটি মেয়েটিকে আদর করার সময় ওর যোনী উত্তেজিত হয়ে আকারে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেড়ে যায় প্রসারণের ফলে যোনিনলের ভেতরের দেয়ালের মিউকাস মেমব্রেন যোনিমুখের কাছাকাছি বার্থোলিন গ্ল্যান্ড বা ছোট ভেস্টিবুলার গ্ল্যান্ড থেকে কিছু পরিমাণ তরল নির্গত হয়ে যোনিমুখ এবং পথকে পিচ্ছিল করে তোলে মূলত এই তরলই আমরা যোনিরস হিসেবে চিনি এটি কিছুটা লবণাক্ত অম্লধর্মী, তবে এটি গলাধঃকরণ করলে কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই যোনীর ভেতরের দেয়ালে রয়েছে বহু স্নায়ুপ্রান্ত যা প্রকৃতপক্ষে ক্লাইটোরিসের শাখা তাই এখানে কোনকিছু প্রবেশ করালে মেয়েটি দারুণ আনন্দ লাভ করে যোনীতে লিঙ্গ দিয়ে মৈথুন করা ছাড়াও জিহবা ঢুকিয়ে, আঙ্গুল দিয়ে যে মেয়েটিকে মজা দেওয়া যায় সেটা তো সবারই জানা আর মৈথুন শুরুর পূর্বে কী কী কাজ করতে হবে তা তো এতক্ষণ ধরে বলা হলো যোনীতে মোটামুটিভাবে ১০-৩০ মিনিট ধরে মৈথুন করলে মেয়েদের অর্গাজম হয়ে থাকে তবে মৈথুনের পূর্বে পরিপূর্ণ উত্তেজনার অভাবে বহু মেয়ে তার সারা জীবনেও হয়তো অর্গাজম লাভ করতে পারে না এরকম যাতে না হয় সেজন্যই উপরের পরামর্শগুলি মেনে চলারপরামর্শদেওয়া হলো আরেকটা কথা, অনেকেরই ধারণা ভ্যাজিনাল অর্গাজমের (যোনীতে মৈথুনের ফলে অর্গাজম) সময় মেয়েদের যোনী থেকে গলগল করে রস বেরিয়ে আসে এটা আংশিক ভুল ধারনা মেয়েটিকে উত্তেজিত করার সময়ই ওর যোনী দিয়ে যে রস চুইয়ে চুইয়ে বের হয়ে আসে তার মাত্রা সামান্য বেড়ে যায় মাত্র মেয়েদের প্রকৃত এজাকুলেশন (Ejaculation-এর বাংলা ছেলেদের ক্ষেত্রে বীর্যপাত, মেয়েদের ক্ষেত্রে কী বলা যায়!?) ঘটে থাকে ওর জি-স্পট অর্গাজমের সময়

 

) ক্লাইটোরিস (Clitoris): নারীদেহের সবচাইতে স্পর্শকাতর অংশ এটি মূলত কয়েকটি স্পর্শকাতর স্থানের একটি সমন্বয়, যা সমগ্র যোনী অঞ্চলের উপরে দৃশ্যমান ভেতরের অংশে ছড়িয়ে আছে অনেকে মনে করেন, ল্যাবিয়া মাইনরায় মূত্রছিদ্রের উপরে অবস্থিত সামান্য ফোলা স্থানটিই ক্লাইটোরিস কিন্ত আসলে সেটি হল সমগ্র ক্লাইটোরিসের অংশসমূহের কেন্দ্রবিন্দু, ক্লাইটোরাল গ্ল্যান্স বা ভগাঙ্কুর এর একটু উপরে মোনস পিউবিস অঞ্চলের ঠিক নিচেই সামান্য একটু স্থান জুড়ে যে যৌনকেশবিহীন অঞ্চল রয়েছে সেটির চামড়ার নিচে আছে ক্লাইটোরাল শ্যাফট মেয়েটির ক্লাইটোরাল অঞ্চল উত্তেজিত হলে নলাকার এই অংশটিতে রক্ত এসে স্ফীত হয়ে যাওয়ায় তা হাত দিয়ে অনুভব করা যায় এই স্থানে জোরে চাপ না দিয়ে আঙ্গুল বুলিয়ে দেওয়া বেশ আরামদায়ক ক্লাইটোরিসের মূল কেন্দ্র ভগাঙ্কুরে হাজারের উপর স্নায়ুকেন্দ্র রয়েছে যা ছেলেদের লিঙ্গের মুণ্ডির স্নায়ুকেন্দ্রের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ এবং মানবদেহের অন্য যে-কোন অংশ থেকে বেশি এর অত্যধিক স্পর্শকাতরতার জন্য একে উত্তেজিত করে তোলার পূর্বে অবশ্যই মেয়েটিকে চরম উত্তেজনার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে হবে কারণ অনুত্তেজিত অবস্থায় এই টুপির মতো অংশটিতে আঙ্গুল ঘষা বা জিহ্বা বুলানো মেয়েটির জন্য দারুণ অস্বস্তির হতে পারে ভগাঙ্কুরে আদর মূলত আলতোভাবে আঙ্গুলের স্পর্শ দিয়েই শুরু করা ভালো সেক্ষেত্রে ভগাঙ্কুরের নিচে মেয়েটির ল্যাবিয়া মাইনোরায় জিহবা দিয়ে চাঁটতে চাঁটতে ভগাঙ্কুরে অঙ্গুলি করা যেতে পারে; আস্তে আস্তে আঙ্গুলের গতি বাড়াতে হবে এভাবে সঙ্গিনীকে বেশ কিছুক্ষণ আদর করার পর আস্তে আস্তে মুখ উপরে এনে জিহবা দিয়ে ভগাঙ্কুরে লাগিয়ে চাঁটা শুরু করতে হবে এই সময় মেয়েটির যোনীর ভেতরে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিলে সে আরও উত্তেজিত হতে পারে যোনীর ভেতরে প্রথমে একটা তারপর দুটো আঙ্গুল নিয়ে যতটা সম্ভব গভীরে নিয়ে আবার বের করে আনতে হবে, এসময় যোনীর দেয়ালে তেমন একটা চাপ না দিলেই ভালো এরকম কিছুক্ষণ করে আবার মুখ নামিয়ে যোনী মুখ জিহবা দিয়ে চাঁটতে চাঁটতে ভগাঙ্কুর আঙ্গুল দিয়ে ঘঁষা শুরু করা যায় এসময় যোনীর ভেতরে একই সাথে আঙ্গুল জিহ্বা ঢুকিয়ে আবার বের করা যেতে পারে মূলত এভাবেই যতক্ষণ পর্যন্ত মেয়েটির অর্গাজম না হয় চালিয়ে যেতে হবে আর এই পুরো সময়টাতেই অবশ্যই যে হাতটি খালি থাকবে সে হাত দিয়ে মেয়েটির দেহের উপরাংশে যতটুকু পারা যায় একটু হাত বুলিয়ে বা একটু চেপে ধরে সংযোগ রক্ষা করতে হবে এভাবে যে অর্গাজম হয় তাকে বলা হয় ক্লাইটোরাল অর্গাজম

 

) জি-স্পট : মেয়েদের যোনীর অংশসমূহের মধ্যে সবচাইতে আলোচিত অংশ এটি আবিষ্ককারকের নামানুসারে একে গ্রাফেনবার্গ স্পট বা সংক্ষেপে জি-স্পট বলে এটি মেয়েদের দেহের সবচাইতে স্পর্শকাতর আনন্দদায়ক অংশ হিসেবে পরিচিত সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গিয়েছে, যে জি-স্পট মূলত ক্লাইটোরিসেরই একটি আংশিক বিচ্ছিন্ন অংশ অত্যন্ত সংবেদনশীল অঙ্গটির অবস্থান হল যোনিপথের সম্মুখ দেয়ালের প্রায় দুই ইঞ্চির মতন ভেতরে, মেয়েদের মূত্রথলির (Bludder) নিচে যোনীর ভেতরটা আঙ্গুল দিয়ে অনুভব করলে, এর প্রবেশপথ থেকে কিছুদুর পর্যন্ত সম্মুখ দেয়ালে (যেদিকে পায়ু আছে তার বিপরীত দিকের দেয়ালে) একটু অমসৃণ যায়গার আভাস পাওয়া যাবে (অনেকটা আমাদের মুখের ভেতরে জিহবার বিপরীত দিকে উপরে যে অমসৃন অংশটি আছে তার মত) যায়গাটি ফুরিয়ে গেলেই একটি অগভীর গর্তের মত অংশ পাওয়া যাবে এই গর্তের মতো অংশেই জি-স্পট অবস্থিত কিন্ত আঙ্গুল ঢুকাতে ঢুকাতে যোনীর সম্মুখ দেয়ালের অমসৃণ জায়গা পার হয়েও জি-স্পট না পেয়ে মসৃণ কোনো অংশে পৌঁছে গেলে বুঝবেন আপনি জি-স্পট পার করে এসেছেন, তাই আবার আঙ্গুল নিচে নামিয়ে এনে খুঁজতে হবে আঙ্গুলের ডগা দিয়ে জি-স্পট টিপে টিপে মেয়েদের সাধারণ ক্লাইটোরাল অর্গাজমের থেকেও বেশি আনন্দদায়ক জি-স্পট অর্গাজম করানো যায় যে মেয়ে সহজে শীৎকার করে না সেও এই অর্গাজমের সময় পাগলের মত শীৎকার করে উঠবে! এই অর্গাজমেই মূলত মেয়েদের এজাকুলেশন হয় যারা জানেন না তারা অবাক হবেন একথা শুনে যে মেয়েদের এজাকুলেটরি রস যোনী দিয়ে নয়, ওদের মূত্রছিদ্র দিয়ে বের হয়ে আসে! অনেক মেয়ে এই অর্গাজম লাভ করেও মূত্রছিদ্র দিয়ে মূত্র বের হয়ে এসেছে মনে করে চরম লজ্জিত হয়ে পড়ে কিন্ত পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এটি মূত্র নয় এতে ক্রিয়েটিনিন, Prostatic acid phosphatase, গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ইত্যাদি রয়েছে যা অনেকটা ছেলেদের প্রস্টেট থেকে নিসৃত বীর্যের উপাদানগুলির মতো এই রসের উৎস Para-urethral tissue, মতান্তরে Skene’s glands. কিন্ত জি-স্পট অর্গাজমের জন্যও মেয়েটিকে জন্য উপযুক্ত উত্তেজিত করে তোলা ক্লাইটোরাল অর্গাজমের চেয়েও বেশি দরকার কারণ জি-স্পট ক্লাইটোরাল গ্ল্যান্ড বা ভগাঙ্কুর থেকেও স্পর্শকাতর তাই অনুত্তেজিত অবস্থায় সেটা স্পর্শ করা মেয়েটির জন্য চরম অস্বস্তির জি-স্পট অর্গাজমের জন্য মেয়েটিকে প্রস্তুত করে তোলা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া

 

১২. পেরিনিয়াম অঞ্চল

পায়ুছিদ্রের উপরে এবং যোনীর নিচে উভয়ের মধ্যকার ফাঁকা স্থানটিকেই পেরিনিয়াম বলে মেয়েদের ক্ষেত্রে ফাঁকা স্থান অনেক ছোট হয় পেরিনিয়ামের চামড়ার নিচে রয়েছে বেশ কয়েকটি রক্তনালী Bulbospongiosus muscle যা পিউডেনডাল নার্ভের (এই নার্ভের বর্ননা নিচে দেওয়া হল) একটি শাখার সাথে যুক্ত তাই স্পর্শকাতর এই অঞ্চলে আদর পাওয়া মেয়েদের জন্য যথেষ্ট উত্তেজনাকর যোনীতে অঙ্গুলি করার সময় স্থানে অন্য হাতের তর্জনী বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে আলতো করে চিমটি দেওয়ার মত ধরে টিপে দেওয়া যেতে পারে

Comments