যৌনতার প্রতি নারী-পুরুষের আকর্ষণ একেবারে প্রাকৃতিক। নারীর যৌনতা বিষয়ে অনেকেরই ধারণা - নারীর যৌন-উপলদ্ধি কেবলমাত্র পুরুষের সংস্পর্শে এলেই বিকশিত হয়। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা। নারী বয়ঃপ্রাপ্তির পর থেকেই যৌনতার ব্যাপারে আকাঙ্ক্ষিত থাকে।
পুরুষের যেমন একটা সুবিধা আছে যে, যৌনমিলনের হাতেখড়ি তারা খুব সহজেই করতে পারে, কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটি সম্ভব হয় না। অধিকাংশ নারী বিয়ের মাধ্যেমে যৌনজীবনে তথা দাম্পত্যজীবনে প্রবেশ করে এবং যৌনতার স্বাদ গ্রহণ করে।
মানুষ মাত্রই যৌনজীবনের একটা প্রয়োজন রয়েছে। তবে এই যৌনজীবনের ফলস্বরূপ কেবলমাত্র প্রজননের তাগিদে যৌনতায় অংশ নেওয়া নয়। মানুষ জগতের আর দশটা প্রাণির চাইতে আলাদা এবং উন্নত। প্রজনন ছাড়াও যৌনতার দ্বারা শারীরিক এবং মানসিক অপার আনন্দ নারীর কাম্য হয়ে উঠে। নারীর যৌনজীবনে একটি অবগুণ্ঠিত ভাব রয়েছে। এর কারণ নারী ধীরে ধীরে উদগ্রীব হয়ে ওঠে। এ ক্ষেত্রে নারী পুরুষের মতো অতি দ্রুত উত্তেজনায় পৌঁছে যেতে পারে না। বরং নারীর উত্তেজনা আসে ধীরে ধীরে।
নারীর শরীরের প্রায় সবটুকুই যৌন উদ্দীপক। পুরুষের মতো নারী শুধু যৌনাঙ্গে উত্তেজনা ধরে রাখে না। তাই নারীর ঠোঁট, স্তন, নিতম্ব, তলপেট, স্তনবৃন্ত, উরু ইত্যাদি স্থানে চুমু, মৃদু দংশন এবং সোহাগের দ্বারা নারী উত্তেজিত হয়ে উঠে। একে যৌনক্রীড়া বলে। যৌনক্রীড়া যৌনমিলনের আনন্দকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ বিষয়ে
বিয়ের ফলে একজন নারী যৌনজীবনে পদার্পণ করে। বিয়ে হচ্ছে একটি সমাজিক বন্ধন। একজন পুরুষ এবং একজন নারী একত্রে সহাবস্থানকে বিয়ে বলা হয়। নারীর জীবনে বিয়ের প্রথমরাত গুরুত্বপূর্ণ
ঘটনা। অনেক নারী এই রাতটিকে ভয় পায়। বিশেষ করে যারা ধর্মীয় কুসংস্কার দ্বারা আচ্ছন্ন তারা বিয়ের প্রথমরাতে নানা প্রকার অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারে।
আমাদের এই উপমহাদেশের বিয়ের সময় নানা প্রকার অনুষ্ঠানের আড়ম্বর থাকলেও বিয়ের পরবর্তী যৌনজীবনে নানা প্রকার শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই জাতীয় সমস্যাগুলো জেনেটিক বা বংশগত হতে পারে। আবার অনেক সময় এর কারণ নিতান্তই শারীরিক হয়ে থাকে। তবে যৌন জীবনে যে-কোনো প্রকার সমস্যাই নারী এবং পুরুষ উভয়কেই ভাবিয়ে তুলতে পারে।
Comments
Post a Comment