নারী-পুরুষের দৈহিক মিলন বা যৌনতা একটি প্রয়োজনীয় শারীরিক বিন্যাস। এর অপর্যাপ্ততা নানাবিধ মানসিক এবং শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। দৈনিক অন্তত একবার না হলেও সপ্তাহে অন্তত দু’বার যৌনমিলন অবশ্যই প্রয়োজনীয়। বিয়ের পরে নারী পুরুষ উভয়েরই এই ব্যাপারটিকে নিজস্ব পছন্দমাফিক করে নিতে পারে। আমেরিকার কিনসে ইনস্টিটিউটের একটি সমীক্ষা হলো এরকম –
যৌনমিলনে অংশগ্রহণের বয়স
সপ্তাহে ৪ দিন -২০-৩০ বছর
সপ্তাহে ২ দিন -৩০ বছর
সপ্তাহে ১ দিন -৪০ বছর
সপ্তাহে ১ দিন বা তার কম -৫০ বছর
মাসে ১ বার -৬০ বছর
যৌন-আগ্রহ কমে যাবার ক্ষেত্রে অনেক সময় নারী এবং পুরুষের নানা শারীরিক এবং মানসিক কারণ দায়ী থাকে। বিভিন্ন সময়ে শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার জন্য পুরুষের পুরুষত্বহীনতা এবং নারীর ক্ষেত্রে যৌন জড়তার সমস্যা হতে পারে।
যে কারণগুলো যৌন-আগ্রহ কমাতে পারে সেগুলোর ব্যাপারে নিচে ধারণা দেওয়া হলো-
লিঙ্গ বা যোনীর সমস্যা
> ক্রনিক অসুস্থতা অর্থাৎ দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকা
> এপিলেপসি, স্ট্রোক, স্পাইনাল কর্ডের সমস্যা ইত্যাদি কারণে যৌন আগ্রহের কমতি
> ক্রনিক রেনাল ফেইলিওর –
> এন্ডোক্রাইনোলজিক্যাল সমস্যা, যেমন : কুশিং’স, সিনড্রোম, এডিসন, অসুখ, ডায়াবেটিকস, অরকোমেগালি, হাইপো অথবা হাইপারনাইরয়োডিজম।
> মনোদৈহিক নানা চাপের কারণেও যৌন-আগ্রহ এবং ইচ্ছার অবদমন ঘটে। যেমন : বিভিন্ন প্রকার মানসিক রোগ, গর্ভাবস্থার চিন্তা, পরিচ্ছন্নতার চিন্তা, অর্থের চিন্তা, চাকরির চিন্তা, সন্তান সন্ততির চিন্তা ইত্যাদি।
> কোনো কোনো ক্ষেত্রে শারীরিক বা মানসিক অন্যান্য রোগের জন্যে ব্যবহারিত ওষুধ সেবনের ফলেও যৌনতার প্রতি অনাকর্ষণ সৃষ্টি হতে পারে।
যৌনতার আগ্রহ বাড়াতে কয়েকটি বিষয়ে লক্ষ রাখুন
> নিত্যনতুন যৌনাসনের ব্যাপারে উৎসাহী হোন
> লিঙ্গ-যোনী সরাসরি না দেখে আড়ালে দেখুন
> শরীরে যৌন ফ্যান্টাসির সৃষ্টি করুন
> পারস্পরিক হস্তমৈথুনের সাহায্য নিন
> দুশ্চিন্তার জন্য ওষুধ সেবন করুন
> নিচু মাত্রার টেসটোস্টেরন ডাক্তারের পরামর্শ মতো গ্রহণ করা যেতে পারে
> সর্বোপরি যৌনজীবন পরিচ্ছন্ন রাখুন
Comments
Post a Comment