১. প্রশ্ন : বাসররাতে নববধূ কীভাবে সজ্জিত হবে?
উত্তর : নববধূ মেহেদি ব্যবহার করবে, অলংকার পরবে এবং সাধ্যমত শরীয়তসম্মত উপায়ে সেজেগুঁজে উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদে সজ্জিত হবে।
২. প্রশ্ন : বাসরঘরে প্রবেশ করে কোনো নামাজ পড়বে কি-না?
উত্তর : পুরুষ বাসরঘরে প্রবেশ করতঃ নববধূসহ দুই রাকআত (শুকরানা) নামায পড়বে।
৩. প্রশ্ন : নামায পড়ার পর কী করবে?
উত্তর : অতঃপর স্ত্রীর কপালের উপরিস্থিত চুল ধরে বিসমিল্লাহ বলে এই দুআ পাঠ করা সুন্নাত-(বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা যুবিলাত আলাইহি, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররি হা ওয়া শাররি মা যুবিলাত আলাইহি)
৪. প্রশ্ন : বাসরঘরে ঢুকে নামায ও দোয়া পড়ার পর আর কোনো আমল আছে কি-না?
উত্তর : বিভিন্ন ইসলামী কিতাবে বাসরঘরে ঢুকে উপরোক্ত আমলগুলো করতে বলা হয়েছে। এরপর স্বামী-স্ত্রী নিজেদের মত নিজেরা পরিচিত হতে থাকবে। তবে প্রথমে স্বামী মহর-বিষয়ক আলোচনা করে নেবে। তা পূর্ণ আদায় না করে থাকলে স্ত্রী থেকে সময় চেয়ে নিবে।
৫. প্রশ্ন : সঙ্গম শুরু করার আগে সর্বপ্রথম কী করতে হবে?
শুরু করার আগে সর্বপ্রথম নিয়ত সহীহ করে নেওয়া; অর্থাৎ, এই নিয়্যত করা যে, এই হালালপন্থায় যৌনচাহিদা পূর্ণ করার দ্বারা হারামে পতিত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, তৃপ্তি লাভ হবে এবং তার দ্বারা কষ্ট সহিষ্ণু হওয়া যাবে, ছওয়াব হাছেল হবে এবং সন্তান লাভ হবে।
৬. প্রশ্ন : অনেকে বলে বাসররাতে স্ত্রীর সাথে সহবাস করা অনুচিত, কথাটি ঠিক কি-না?
উত্তর : না, এ ধরণের কথা ঠিক নয়, এ সময় যে-কোন উপভোগের জন্য স্বামী-স্ত্রী পরিপূর্ণ স্বাধীন। তারা সন্তুষ্টচিত্তে যে-কোন কাজ করতে পারে। তবে অবশ্যই প্রথমরাত হিসেবে একে অপরের চাহিদার প্রতি লক্ষ রাখা উচিত।
৭. প্রশ্ন : সঙ্গমের শুরুতে কোনো দোয়া পড়তে হবে?
শুরুতে বিসমিল্লাহ বলে কার্য শুরু করা। তারপর শয়তান থেকে পানাহ চাওয়া। উভয়টিকে একত্রে এভাবে বলা যায়- বাংলা উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শাইতানা ওয়া জান্নিবিশ শাইতানা মা রাযাকতানা। অর্থ : আমি আল্লাহর নাম নিয়ে এই কাজ আরম্ভ করছি। হে আল্লাহ, শয়তানকে আমাদের থেকে দূরে রাখ এবং যে সন্তান তুমি আমাদের দান করবে তার থেকেও শয়তানকে দূরে রাখ।
বিশেষকিছু আদব ও বিধি-নিষেধ : সঙ্গমের কিছু আদব ও নিয়ম নিম্নরূপ- কোনো শিশু বা পশুর সামনে
রত না হওয়া, পর্দাঘেরা স্থানে শুরু করার অাগে শৃঙ্গার (চুম্বন, স্তন মর্দন ইত্যাদি) করবে। বীর্য, যৌনাঙ্গের রস ইত্যাদি মোছার জন্য এক টুকরো কাপড় রাখা, অবস্থায় বেশি কথা না বলা, বীর্যের ও স্ত্রীর যৌনাঙ্গের প্রতি দৃষ্টি না করা,
করে নেওয়া, এক লিপ্ত হতে চাইলে যৌনাঙ্গ এবং হাত ধুয়ে নিতে হবে, বীর্যপাতের পরই স্বামীর নেমে না যাওয়া বরং স্ত্রীর উপর অপেক্ষা করা, যেন স্ত্রীও তার খাহেশ পূর্ণমাত্রায় মিটিয়ে নিতে পারে,
পর অন্তত বিছুক্ষণ ঘুমানো উত্তম, জুমা’আর দিনে করা মুস্তাহাব,সঙ্গমের বিষয় কারও নিকট প্রকাশ করা নিষেধ, এটা একদিকে নির্লজ্জতা, অন্যদিকে স্বামী/স্ত্রীর হক নষ্ট করা, সঙ্গম অবস্থায় স্ত্রী-যোনীর দিকে নজর না দেওয়া, তবে হযরত ইবনে ওমর (রা.) সঙ্গম, অবস্থায় স্ত্রী-যোনীর দিকে দৃষ্টি দেওয়া উত্তেজনা বৃদ্ধির সহায়ক বিধায় এটাকে উত্তম বলতেন।
৯. প্রশ্ন : কোন কোন অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করা যাবে না?
উত্তর : নিম্নোক্ত অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করা যাবে না। স্ত্রীর মাসিক বা প্রসবকালীন স্রাব চলাকালে। এতেকাফ অবস্থায়। রোজার দিনের বেলায়। এহরাম অবস্থায়। স্ত্রীর পেছনের রাস্তা দিয়ে (পায়ুপথ)।
১১. প্রশ্ন : বীর্যপাতের সময় কোন্ দোয়া পড়বে?
উত্তর : বীর্যপাতের সময় নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়বেন- বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লা তাজআল লিশ্শাইতানি ফিমা রাযাকতানী নাসীবান। অর্থ : হে আল্লাহ, যে সন্তান তুমি আমাদেরকে দান করবে তার মধ্যে শয়তানের কোন অংশ রেখ না।
১৩. প্রশ্ন : দাঁড়িয়ে সহবাস করা যাবে কি-না?
উত্তর : হ্যাঁ, দাঁড়িয়েও সহবাস করা যাবে। যারা বলে দাঁড়িয়ে সহবাস করা যায় না তাদের কথা ঠিক নয়। তাই ওই কথায় কান দেওয়া যাবে না।
Comments
Post a Comment