নারী এবং পুরুষ যখন দৈহিক মিলনে উপনীত হয়, তখন উভয়ের শরীরে দৈহিক উত্তেজনা চলে আসে। নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই এই উত্তেজনার চারটি ধারা হলো -
> উত্তেজনার ধারা
> যৌনমিলনের ধারা
> চরমপুলকের ধারা
> শিথিলতার ধারা
উত্তেজনার স্তরে পুরুষ এবং নারী একে অন্যের স্পর্শে বা আদরে উত্তেজিত হতে পারে। উত্তেজনার ধারাটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যৌন-আনন্দ পাবার ক্ষেত্রে। যদি কেউ যৌনমিলনের আগে পূর্ণাঙ্গ উত্তেজিত না হয় তবে যৌন চরমপুলক সে পুরোপুরি পায় না। এজন্য উত্তেজিত হওয়াটা খুবই জরুরি একটি সুখময় যৌনমিলনের জন্য।
যৌনমিলনের ক্ষেত্রে পুরুষ এবং নারী উভয়ের যৌন উত্তেজনার মাত্রা বাড়তে থাকলে একসময় উভয়ে
স্বাভাবিকভাবেই
চূড়ান্ত মিলন আশা করে। নারীর নিতম্ব, স্তন, স্তনবৃন্ত এবং যোনী মিলনের আনন্দে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এ পর্যায়ে পুরুষের লিঙ্গ দৃঢ় হয় এবং লিঙ্গ যৌনমিলনের জন্য উন্মুখ হয়ে ওঠে। জেনে রাখা ভালো যে, কোনো কোনো নারী যৌনমিলনের আগেই উত্তেজনার স্তরেই তার যোনী থেকে তরলের ক্ষরণ হতে পারে। এবং নারী যৌনমিলনের জন্য উত্তেজিত হওয়া মানেই তার যোনিপথ সিক্ত হবে।
নারী যে উত্তেজিত তার প্রমাণ হচ্ছে এটি এবং এই কামরসই যোনীকে পিচ্ছিল করে তোলে, যাতে করে পুরুষের লিঙ্গ চালনা সহজ হয়। পুরুষের লিঙ্গের মাথাতেও এই সময় সাদাটে পানির মতো পদার্থ বের হতে দেখা যায়। এ থেকে বোঝা যায় যে, পুরুষের যৌন উত্তেজনা নারীসম্ভোগের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এ পর্যায়ে পুরুষও নারীর উত্তেজনা খেয়াল করে
যৌনমিলনের স্তরে নিজের লিঙ্গ নারীর যোনীর ভেতর চালনার ফলে নারীর যৌন-আনন্দ ঘনীভূত হয়। এবং এই পর্যায়ে কিছুক্ষণ চলার পর পুরুষের বীর্যপাত হবার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
পুরুষ মোটামুটিভাবে নারীর যোনীতে অর্থাৎ প্রবেশের পর থেকেই যৌন আনন্দ পায়। প্রথম প্রথম যৌনমিলনের সময় নারীর যৌনাঙ্গে ব্যথার সৃষ্টি হলেও পরে অবশ্য তা এমনিতেই কেটে যেতে পারে। যৌনমিলন যখন চলতে থাকে তখন উভয়েরই শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা চূড়ান্ত উত্তেজিত পর্যায়ে পোঁছে যায়। এই সময়ে নারীর এবং পুরুষের শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত এবং রক্ত চলাচলের গতি বেড়ে যায়। এরপর চরমপুলকের ধারায় পুরুষ এবং নারী যৌন আনন্দ পায়।
পুরুষের মতো নারীর বীর্যপাত না হলেও তার যোনীর ভেতরে তরলের ক্ষরণ হয়। পুরুষের বীর্যপাত ঘটলে তার চরমপুলক এসে যায়। কোনো কোনো নারী একবার যৌনমিলনেই কয়েকবার যৌন আনন্দ লাভ করে। একে মাল্টিপল অর্গাজম বলে। কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে এ রকম ঘটতে দেখা যায় খুব কম। পুরুষের বীর্যপাত হলে তার লিঙ্গ শিথিল হয়ে পড়ে এবং নারীর যোনী ধীরে ধীরে শুষ্ক হয়ে উঠতে থাকে। এই পর্যায়ে শিথিল ধারায় আবির্ভাব ঘটে। অর্থাৎ পুরুষ এবং নারী উভয়ের দেহই শিখিল হয়ে পড়ে। কেননা যৌনমিলনের সময় যে শারীরিক এবং মানসিক গতির সঞ্চার হয় তা ধীরে ধীরে কমে আসে এবং সেই সাথে হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া ও শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি স্বাভাবিক হয়।
চরমপুলকের পরে পুরুষ এবং নারীর দৈহিক শৈথিল্যাবস্থা শারীরবৃত্তীয় স্বাভাবিক কারণেই সংঘটিত হয়। পুরুষ এবং নারী শিথিল অবস্থার পরবর্তী সময়ে আবার যৌনমিলনের জন্য উত্তেজিত হয়ে উঠতে পারে। নারীর ক্ষেত্রে যৌনমিলনের আনন্দ কোনো কোনো সময় খুব বেশি কাঙ্ক্ষিত আবার কোনো কোনো সময় ততটা কাঙ্ক্ষিত হয় না। পুরুষের ক্ষেত্রে অবশ্য কোনো শারীরিক এবং মানসিক চাপ না থাকলে পুরুষের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
Comments
Post a Comment