ভার্জিন হবার লক্ষণসমূহ কী কী?
আসুন এবার কিছু ভুল ধারণা ভাঙা যাক। জেনে নিই ভার্জিন বা কুমারী মেয়ে চেনার উপায়। কিন্তু কীভাবে চিনবেন বা বুঝবেন যে আপনার সঙ্গী ভার্জিন কি-না?
ভার্জিন হবার লক্ষণ
১. যোনি দেখে ভার্জিন কি-না বুঝা :
ক. ল্যাবিয়া মেজরা অর্থাৎ বাইরের পাপড়ি প্রায় সম্পূর্ণভাবে একসাথে লেগে থাকবে এবং যোনিমুখ দেখা যাবে না।
খ. ল্যাবিয়া মাইনরা অর্থাৎ ভেতরের পাপড়িও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে এবং ল্যাবিয়া মেজরা দিয়ে ঢাকা থাকবে পুরোটাই। ল্যাবিয়া মেজরা না সরালে দেখা যাবে না ।
গ. ভার্জিন হতে হলে তার হাইমেন অর্থাৎ সতীচ্ছেদ অক্ষত থাকবে। যদিও অনেক কারণেই তা ছিঁড়ে যেতে পারে।
ঘ. ভার্জিন মেয়েদের ল্যাবিয়া মাইনরার নিচের প্রান্ত একত্রে থাকবে।
ঙ. ক্লাইটরিস খুব ছোট এবং একে আবরণকারী চামড়াও পাতলা হবে।
চ. যোনিপথ সরু এবং ভেতরের ভাঁজগুলি কম মসৃণ হবে। ভাজ অনেক বেশি হবে।
২. স্তন দেখে ভার্জিন কি-না বুঝা :
ক. ভার্জিন মেয়েদের স্তন সাধারণত ছোট হয়
খ. চ্যাপ্টা হবে, গোল নয়
গ. দৃঢ় হবে, তুলতুলে নয়
ঘ. ভার্জিন মেয়েদের নিপলের চারপাশে যে গাঢ় অংশ থাকে তার রং গোলাপি থেকে বাদামী রঙের হবে এবং এই অংশ আয়তনে ছোট হবে।
ঙ. নিপলের আকার ছোট হবে ।
সিউডো ভার্জিন
অনেকসময় অনেক মেয়ের কয়েকবার যৌনমিলনের পরেও হাইমেন বা সতীচ্ছেদ অক্ষত থাকে। এদের সিউডোভারজিন বা মিথ্যা ভার্জিন বলা হয়। অবশ্য এর হার অনেক কম।
বি. দ্র. :যেসব মেয়ে বেশি খেলাধুলা বা শরীরচর্চা করে, সাইকেল বা মোটরসাইকেল চালায়, ঘোড়ায় চড়ে বা হস্তমৈথুন করে তাদের হাইমেন বা সতীচ্ছেদ ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
যোনী (ইংরেজি : Vagina ভ্যাজাইনা, মূলত লাতিন : উয়াগিনা) হলো স্ত্রী যৌনাঙ্গ, যা একটি ফাইব্রোমাসকুলার টিউবাকৃতি অংশ যা জরায়ু থেকে স্ত্রীদেহের বাইরের অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি দেখা যায় অমরাবিশিষ্ট মেরুদণ্ডী ও মারসুপিয়াল প্রাণীতে, যেমন ক্যাঙ্গারু অথবা স্ত্রী পাখি, মনোট্রিম, ও কিছু সরীসৃপের ক্লোকাতে। স্ত্রী কীটপ্রত্যঙ্গ এবং অন্যান্য অমেরুদণ্ডী প্রাণীরও যোনী আছে, যা মূলত ওভিডাক্টের শেষ প্রান্ত। লাতিন বহুবচনে যোনিকে বলা হয় ভার্জিন (vaginae) উয়াগিনাই (ইংরেজি উচ্চারণে ভ্যাজাইনি)
নারীর যোনী (এ বিষয়ে আরও ) সারভিক্স থেকে ভালভা পর্যন্ত বিস্তৃত একটি নমনীয় ও মাংসল নালী। শরীর ভেদে পার্থক্য হলেও সাধারণত একটি অনুত্তেজিত যোনীর দৈর্ঘ্য সামনের দিকে ৬ থেকে ৬.৫ সে.মি. (২.৫ থেকে ৩ ইঞ্চি) এবং পেছনের দিকে ৯ সে.মি. (৩.৫ ইঞ্চি)।
যৌন উত্তেজনার সময় যোনী দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ উভয় দিকেই বৃদ্ধি পায়। এটার নমনীয়তার ফলেই এটি যৌন মিলন ও সন্তান জন্মদানের সময় বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। যোনী, সুপারফিশাল ভালভা ও জরায়ুর গভীরের সারভিক্সকে সংযুক্ত করে।
যদি একজন মহিলা সোজা হয়ে দাঁড়ান তবে যোনীর শেষপ্রান্ত সামনে-পেছনে জরায়ুর সাথে ৪৫ ডিগ্রির বেশি কোণ উৎপন্ন করে। যোনীর শেষপ্রান্তটি ভালভার একটি কডাল প্রান্ত। এটি মূত্রনালীর পেছনে অবস্থিত। যোনীর উপরের এক চতুর্থাংশ রেকটোউটেরিন পাউচ দ্বারা রেকটাম থেকে পৃথক। যোনীর উপরের অংশের নাম মন্স-ভেনেরিস। ভালভার ভেতরের দিকসহ যোনীর রং হালকা গোলাপি এবং এটি মেরুদণ্ডী প্রাণীতে সবচেয়ে বেশি মিউকাস ঝিল্লিবিশিষ্ট অভ্যন্তরীণ অঙ্গ। যোনীর বাকি তিন-চতুর্থাংশ অঞ্চল উঁচু-নিচু অংশের দ্বারা সৃষ্ট ভাঁজে পরিপূর্ণ, এই ভাঁজকে রুগি বলে।
যোনীর পিচ্ছিলতা বার্থোলিনের গ্রন্থি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এটি যোনীর প্রবেশমুখে এবং সারভিক্সের কাছে অবস্থিত। যৌনমিলনের সময় প্রয়োজনীয় পিচ্ছিলকারক তরল ক্ষরিত করার মাধ্যমে এটি যৌনমিলনের সময় সৃষ্ট ঘর্ষণ হ্রাসে ভূমিকা রাখে। কোনোরকম গ্রন্থির সম্পৃক্ততা না থাকলেও যোনীর দেয়াল জলীয় উৎপাদন করে। ডিম্বক্ষরণের সময় সারভিক্সের মিউকাস গ্রন্থিগুলো বিভিন্ন রকম মিউকাস ক্ষরণ করে। এর ফলে যোনীয় নালীতে ক্ষারধর্মী অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয় এবং এটি শুক্রাণুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
Comments
Post a Comment